Mahmudul Islam Chowdhury

Mahmudul Islam Chowdhury

Ex Member Of Parliament , Ex Mayor,Chittagong City Corporation

 

Mahmudul Islam Chowdhury, A Veteran Politician, Was Born In Renowned Muslim Zamidar Family In Chittagong District Of Bangladesh In 04 April 1952. His Father Late Ameerul Haj Khan Bahadur Badi Ahmed Chowdhury, Ex M.L.C & M.L.A, Was A Renowned Inheritated Land Lord In The District Of Chittagong. He Completed Masters In Arts (History) In 1973 From University Of Chittagong. He Worked As Honorary Magistrate Of 1st Class From 1976 To 1979. Mahmudul Islam Chowdhury Is A Person Who Gained More Achievements In Politics At His Early Age. He Is A Former Founder Mayor Of Chittagong City Corporation With The Rank And Status Of A State Minister Of Central Government Since 1988-1990. During His Tenure As Mayor The Revenue Earning Of The City Corporation Had Increased And Realized By 1400% More And The Organization Became Financially Self-Sufficient. He Is An Ex-Member Of Parliament For Three (3) Terms In 2nd, 3rd And 4th Parliament Of Bangladesh. He Was The Chairman Of “Public Undertaking Committee” In Parliament Since 1979-1982 And Was Also A Member In The Drafting Of Bill For Export Processing Zone (EPZ). He Was Chairman Of The Railway Matter At A Ministerial Enquiry Committee (1980-1981) As A Member Of Parliament. Mahmudul Islam Chowdhury Earned Glorious Experience By Attending In Several International Conferences- Such As He Attended In Common Wealth Parliament Conference At Barbados In 1989 As The Leader Of Bangladesh Parliament Delegation. He Participated In A Workshop On The Subject Of “Practice & Procedure Of Parliament” At London In 1989 As A Single Member From Bangladesh. He Had Also Participated In A Course On “Role Of Congress In United States” In 1987 Sponsored By USIA. Mahmudul Islam Chowdhury Professionally Is A Businessman. He Belongs A Lot Of Personal Business Establishment- Such As Managing Director Of M/S. Amanat Marine Works Ltd. (Operates An Inland Sea Going Oil Tankers), Proprietor Of Hasan Enterprise (Operates Saleh Jute Industries Ltd, Manufacture And Exporters Of Jute Yarn/Twine), Founder Director Of Saleh Zarina Ltd. (Re-Rolling & Ship Breaking Unit), Founder President Of Chittagong Chamber Of Commerce And Industry Since 1990 (Proposed)- But Govt. Did Not Issue License For This Chamber. Mahmudul Islam Chowdhury Is Now Also Involved In Some Social Activities- Such As He Is A Life Member Of Chittagong Press Club, Life Member Of Bangladesh Parliament Member’s Club, Permanent Member Of Bhatiyari Golf And Country Ltd. Mahmudul Islam Chowdhury Widely Traveled To Different Continents And Countries Including Business Delegation And Also Performed Hajj.

 

Article on a Journal

প্রাণপ্রিয় বাঁশখালীবাসী,

সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন

আমাদের বাঁশখালীর কৃতিসন্তান জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রথম মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ অভিজাত বংশের সন্তান আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী মহাজোট তথা জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ।

বাঁশখালীর অপামর জনতার সাথে এলাকার উন্নয়ন ও সার্বিক ইতিবাচক অগ্রগতির জন্য তাঁকে জয়যুক্ত করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য ও দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

বাঁশখালীবাসীর জন্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী অতীতে যা কিছু করেছেন তাঁর সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ

জন্ম : মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহন করেন । বৃটিশ আমলে তাঁদের বাড়ীকে উজির বাড়ী বলা হত ।

পিতা : মরহুম আমিরুল হজ্জ খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী ১৯২৯ সালে ভারতীয় অবিভক্ত বাংলার আইন সভার সদস্য (M.L.C.) (নির্বাচনী এলাকা: রাঙ্গুনিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত) নির্বাচিত হন । ১৯৩৫ সালে হজ্জ্বব্রত পালনকারী অবিভক্ত বাংলার হাজীদের নেতৃত্বদানের জন্য ‘আমিরুল হজ্জ’ উপাধি লাভ করেন । ১৯৩৬ সালে বদি আহমদ চৌধুরীকে জনসেবার স্বীকৃতী স্বরূপ ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে অবিভক্ত ভারতের গভর্নর জেনারেল ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করেন । পরবর্তীতে ১৯৪৩ সালে নির্বাচনী এলাকা বৃহত্তর চট্টগ্রাম, বৃহত্তর নোয়াখালী, বৃহত্তর ত্রিপুরা (কুমিল্লা) ও বৃহত্তর সিলেট থেকে জমিদারদের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতীয় অবিভক্ত বাংলার আইনসভার সদস্য (M.L.A) নির্বাচিত হন ।

শিক্ষা ও কর্মজীবন ঃ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৬৭ সালে বৈলছড়ী নজমুন্নেছা হাই স্কুল থেকে এস এস সি পাশ করেন । তিনি যথাক্রমে ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচ এস সি ও ডিগ্রী পাশ করেন । তিনি ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে উচ্চতর এম এ ডিগ্রী অর্জন করেন । ১৯৭৬ সালে বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজে স্বল্পকালীণ সময়ের জন্য বিনা বেতনে অবৈতনিক প্রফেসর হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় । একই বছর তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহকুমা এবং ১৯৭৭ সালের উত্তর মাহকুমা কোর্টের অবৈতনিক প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেন । তিনি কর্মজীবনে বাঁশখালী উপজেলার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বাঁশখালী উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রতি মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রথম মেয়র এর দায়িত্বপালন করেন । তিনি ২০০৫ হতে সাত বৎসর সময়কাল পর্যন্ত International Business Forum of Bangladesh (www.ibfb.org)

প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । বর্তমানে তিনি তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্টান সমূহকে একত্র করে Khan Bahadur Group (www.khanbahadurgroup.com.bd) এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন । বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ।

রাজনীতি ও সমাজকর্ম : অবিভক্ত বাংলার একজন বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তির সন্তান হিসেবে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বাঁশখালীর ধনী-গরীব, শিক্ষিত ও অশিক্ষিত, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, প্রজা, কৃষক, শ্রমিকসহ সকল স্তরের মানুষের সাথে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং রাজনীতির সাংস্কৃতিক জ্ঞান তাঁর পরিবারেই অর্জন করেছিলেন । তবে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির হাতে-খড়ি ছাত্রজীবনেই হয় । রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি ছাত্র লীগ নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর স্নেহভাজন ছিলেন । তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের খন্ডচিত্রগুলো নিম্নরূপ-

  • ১৯৬৭ চট্টগ্রাম কলেজের কমনরুম সম্পাদক নির্বাচিত ।
  • ১৯৬৮-১৯৭১ বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন । সেসময় তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ও পালন করেন ।

১৯৬৯ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান চট্টগ্রাম হয়ে সন্দ্বীপে সমাবেশে যোগদানকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সফর সঙ্গী ছিলেন । উল্লেখ্য চৌধুরী সাহেবও ঐ সমাবেশের বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে একজন বক্তা ছিলেন ।

  • ১৯৭৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাঁশখালী সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন পত্র জমা করলে বয়স জনিত কারণে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয় ।
  • ১৯৭৯-১৯৮২ মাত্র ২৭ বছর বয়সে প্রথম বারের মত বাঁশখালী সংসদীয় আসনের এমপি নির্বাচিত হন ।

১৯৭৯-১৯৮২ জাতীয় সংসদের শিল্পমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সদস্য ।

১৯৮৫-১৯৮৬ বাংলাদেশে উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন হলে বাঁশখালী উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ।

  • ১৯৮৬-১৯৮৭ দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ।
  • ১৯৮৮-১৯৯০ তৃতীয় বারের মত বাঁশখালী সংসদীয় আসন থেকে এম পি নির্বাচিত হন । • ১৯৮৮ চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রশাসক নিযুক্ত হন ।
  • ১৯৮৮-১৯৯০ জাতীয় সংসদের Public Undertaking Committee এর চেয়ারম্যান এবং ১৯৯২ সাল থেকে অদ্যবদি তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ।
    • ১৯৮৮-২০০০ জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । • ১৯৮৯ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন । • ১৯৯১ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোটের দিন রাতে ভোট গণনা শেষে প্ৰায় ২০০০ ভোটের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হওয়া সত্ত্বেও পরেরদিন সকালে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ৫৮৭ ভোটে পরাজিত ঘোষণা করা হয় । পরবর্তীতে নির্বাচনী ট্রাইবুনালের রায়ে জয়লাভ করলেও প্রতিপক্ষ উচ্চ আদালতের সরনাপন্ন হয়ে তা স্থাপিত করেন ।
    • তিনি ১৯৮৬ সালে YOUNG MAN LEADERSHIP TRAINING এর আওতায় আমেরিকান সরকারের আমন্ত্রনে ROLE OF CONGRESS IN USA এর উপর ৫ সপ্তাহের কোর্সে অংশ গ্রহন করে মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার, প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের ক্ষমতার ভারসাম্য, বিচার ব্যবস্থা, CONGRESS এবং SENATE এর আইন প্রনয়ন তথা ক্ষমতার পদ্ধতি, গণ-মাধ্যমের ভূমিকা, প্রাদেশিক সরকার ও গভর্ণরের ক্ষমতার ভারসাম্য এবং সর্বোপরি আমেরিকার সংবিধান প্রণয়নে ১২ বৎসর ব্যাপী ভূমিকার ইতিহাসের উপর সার্বিক জ্ঞান অর্জন করেন ।
    • তিনি ১৯৮৯ সালের মার্চে COMMONWEALTH PARLIAMENTARY ASSOCIATION এর আমন্ত্রণে বৃটিশ পার্লামেন্টের ওয়েষ্ট মিনিষ্টার SYSTEM এর উপর PRACTICE AND PROCEEDURE OF PARLIAMENT এর উপর ৪ সপ্তাহের কোর্স সম্পন্ন করেন । এই সময় তিনি বৃটিশের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রথানমন্ত্রী মর্গারেট থেচার এবং লর্ড মেয়র অব লন্ডন এর সাথে মতবিনিময় করেন । বৃটিশ গণতন্ত্রের উপর তিনি HOUSE OF LORDS এবং HOUSE OF COMMONS এর আইন প্রণয়ন সহ বৃটিশ সরকারের শাসন ব্যবস্থার উপর জ্ঞান অর্জন করেন । • তিনি ১৯৯০ সালে COMMONWEALTH PARLIAMENTARY ASSOCIATION এর সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন । দক্ষিণ আমেরিকার BARBADOS নগরীতে পৃথিবীর প্রায় ৮৫ দেশের পার্লামেন্টের স্পীকারগণের নেতৃত্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসাবে আফ্রিকার অবিসংবাধিত নেতা নেলসন ম্যানডেলার কারাবন্দি হতে মুক্তি প্রদানের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ।
    • তিনি ব্যবসায়ীক সমাজের নেতা হিসাবে ১৯৮১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমন্ত্রনে বেলজিয়াম, হল্যান্ড, ডেনমার্ক ও ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান

    করেন ।

    • তিনি IBFB এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে ব্যবসায়ীক ডেলিগেশনের নেতা হয়ে ২০০৯ সালে ভূটান, ২০১০ সালে ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া, ২০১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের LOS ANGELES, WASHINGTON, NEW YORK সহ বিভিন্ন শহরে আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য প্রদান করেন ।
    • বাঁশখালীবাসীর জন্য আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী অতীতে যা করেছেনঃ

      ১) চাঁনপুর হতে টৈটং পর্যন্ত রাস্তাটি জেলা পরিষদের অধিনে একটি কাচাঁ মাটির রাস্তা ছিল । তিনি উদ্যোগ নিয়ে এই রাস্তাকে জেলা পরিষদ হতে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে হস্তান্তর বা অধিভুক্ত করেন । চাঁনপুর হতে টেটং পযর্ন্ত সম্পূর্ন এই কাঁচা মাটির রাস্তার উপরে সেই সময়কালে কয়েকটি শুধুমাত্র কাঠের ব্রিজ ছিল । জলদীর দক্ষিনে টৈটং পযর্ন্ত সমস্ত বাঁশের সাকু তাঁর আমলে পাকা সেতুতে পরিবর্তন হয় ।

      ২) বাশঁখালী হতে মানুষ নদী পথে সাম্পানে বা লঞ্চে একদিন একরাত সময় ব্যয় করে ২য় দিনে চট্টগ্রাম শহরে আসত । শুষ্ক মৌসুমে ৪/৫ মাসের জন্য জলদী ও গুনাগরি হতে পুরনাদিনের ভাঙ্গা জিপে করে সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, বোয়ালখালী, কালুরঘাট হয়ে শহরে যাওয়া আসা করত ।

      ৩) তাঁর নেতৃত্বে বা উদ্যোগে ১৯৭৯-১৯৯০ সালের মধ্যে তিনি ৩ (তিন) বার সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় বাশঁখালীর সমস্ত সেতু পাকাকরন করা হয় । বাশঁখালী চানপুর হতে নাপোড়া পর্যন্ত রাস্তার সমস্ত ব্রীকসলিং কাজ সম্পূর্ন করা হয় । গুনাগরি হতে জলদী পর্যন্ত রাস্তায় কার্পেটিং করা হয় । সেতু নিমার্ণের লক্ষ্যে ১৯৯০-৯১ সালে তৈলারদ্বীপে তাঁর দ্বারা ফেরী সার্ভিস চালু করা হয় ।

      ৪) তিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় চট্টগ্রামের প্রথম মেয়র হওয়ার সুবাদে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সাহায্যে কর্ণফুলী নদীর উপর প্রথম লোহার সেতু (বর্তমানে শাহ আমানত সেতু) নিমার্ণ করা হয় এবং সেই হিসাবে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট হতে শাহ-আমানত সেতু হয়ে নতুন একটি রাস্তা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের বধান্ন্যতায় নিমার্ণ করতে সক্ষম হন ।

      ৫) দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের জন্য তাঁর মেয়র থাকার সুবাদে চট্টগ্রাম শহরে একমাত্র বাস টার্মিনাল (বহাদ্দারহাট বাস টার্মিনাল) নিমার্ণ করা হয় । আজ পর্যন্ত রাজধানী উত্তরবঙ্গ ও রাঙ্গামাটি ইত্যাদি এলাকায় যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে কোন বাস টার্মিনাল নির্মান করা হয়নি ।

      ঢাকা,

      ৬) বাশঁখালীতে শিক্ষিত বেকারদের চাকুরীদাতা হিসাবে তাঁর কোন তুলনা নাই । তিনি এম,পি বা মেয়র থাকা কালীন সময়ে কয়েক হাজার ছেলে মেয়েদের চাকুরী প্রদানের সময় অন্যান্য সংস্থা ব্যতীত শুধু সিটি কর্পোরেশনেই একমাত্র বাশঁখালীর ৮২৫ জন ছেলেমেয়েকে চাকুরি দিয়েছেন । আর এই চাকরি দেয়ার কারণে তাঁকে মামলা খেতে হয়েছিল । অথচ তিনি বাঁশখালীবাসীকে সহায়তা করেছিলেন মাত্র।




    • ৭) চট্টগ্রাম শহরে বাশঁখালী, পেকুয়া, কুতুবদিয়ার কোন শিক্ষিত বা অর্ধ শিক্ষিত ব্যক্তিগণ বিশেষ করে সব ফেরীওয়ালা এবং পরিবহন শ্রমিক কোন বিপদে পতিত হলে সাথে সাথে তাঁর শরনাপন্ন হয় । তিনি সব বাশঁখালীর দুঃখী মানুষের অভিবাবক হিসাবে অনেকের অনেক

      সমস্যার সম্মানজনক সমাধান করেছেন ।

      ৮) তাঁর নেতৃত্বে বা সুবাদে ১৯৮০-৮১ সালে বাঁশখালীতে সর্ব প্রথম বিদ্যুৎ এর লাইন চালু বা সরবরাহ করা হয় ।

      ৯) বাঁশখালী জলদীতে তাঁর উদ্যোগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয় । পশ্চিম বাশঁখালীতে তাঁর প্রদত্ত দান করা জায়গার উপর চুনতি হাটে কোষ্টাল রেঞ্জ বা বনবিভাগ প্রতিষ্টা লাভ করে । ১০) চট্টগ্রাম জেলায় কোন উপজেলায় ফৌজদারী কোর্ট নেই । শুধুমাত্র দ্বীপ হিসাবে সন্দ্বীপে আছে । তাঁর দ্বারাই বাঁশখালীতে উপজেলা ফৌজদারী কোর্ট স্থাপন করা হয় ।

      ১১) বাঁশখালী তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিভিন্ন নদী ও খালের উপর কুত ঘাট টেক্স প্রথা ছিল । প্রায় ১২টি এই কুতঘাট টেক্স বা টোল ঘর তাঁর প্রচেষ্টায় ও আন্দোলনে ১৯৮২ সালে সম্পূর্ণরুপে বাতিল ও চিরতরে বন্ধ করা হয় । যার ফলে নদীপথে কোন সাম্পান বা ইঞ্জিন চালিত নৌকাকে এখন আর টেক্স দিতে হয় না ।

      ১২) বাশঁখালীতে সর্বপ্রথম ডিপটিউবলের মাধ্যমে জমি চাষ তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭৯ সালে প্রবর্তন

      করা হয় ।

      ১৩) ১৯৯৬ হতে ২০০১ সাল পযর্ন্ত জাতীয় পার্টির মহাসচিব জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দ্বিতীয়বার যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হলে জনাব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর উদ্যোগে তৈলারদ্বীপ সেতু প্রকল্পকে সংশ্লিষ্ট যোগাযোগ মন্ত্রীর একক ক্ষমতার মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য অত্র সেতুকে তিনটি প্রকল্পে বিভক্ত করে বাস্তবায়ন করা হয় । শুধুমাত্র সেতু অংশ নির্মাণে ২৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা । নদী শাসনের জন্য ৮/১০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ব্রীক্স ব্লক নির্মাণ করা হয় । সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক আলাদা প্রকল্প করে বাস্তবায়ন করা হয় । উল্লেখ্য সেই আমলে মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রীর একক ক্ষমতায় ২৫ কোটি টাকার বেশী প্রকল্প অনুমোদন করা সম্ভব ছিল না ।

      ১৪) সেতু নিমার্ণের পরে ২০০৬ সালে সেতুর সংযোগ সড়ক বিশেষ করে আনোয়ারা অংশে চওড়া

      ১৮ ফুটের পরিবর্তে ১২ ফুট করে চালু করতে চাইলে তিনি সেখানে সিংহের মত গর্জন করে কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন । ঐ সংযোগ সড়কের রাস্তায় সড়ক ও সেতু বিভাগ কতৃর্ক ২০০৭-২০০৮ সালে ১৮ ফুট প্রস্থ হিসাবে রাস্তা তৈরী করিতে সক্ষম হয় ।

      ১৫) ২০০৭ সালে কেয়ার টেকার সরকারের সময় পশ্চিম বাশঁখালী বিশেষ করে ওয়াপদার

      বেড়ীবাধের উপর নির্মিত সকল হাটবাজার দোকানপাট ইত্যাদি উচ্ছেদের জন্য নোটিশ প্রদান করে । কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বেড়ীবাধের উপরে ও সমস্ত হাটবাজার দোকান

      বিভিন্ন বসতবাড়ী মালিকগন তাহার শরনাপন্ন হলে তিনি তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত দেন-দরবার করে বাঁশখালীর বেড়ীবাধের উপরে সব হাটবাজার, দোকান উচ্ছেদ বা ভাংচুর হতে রক্ষা করেন । উল্লেখ্য, উক্ত একই আদেশের বলে পার্শ্ববর্তী কুতুবদিয়ার বেড়ীবাধের উপর সমস্ত হাটবাজার দোকান ভেঙ্গে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছিল ।

      ১৬) বাশঁখালীর অনেক মানুষ সমুদ্রের কারণে এবং শঙ্খনদীর স্রোতের কারণে ও আর্থিক ধন্যতা

      বা অভাবের তাড়নায় বাড়িভিটা ছাড়া হয়ে যায় । এইসব অসহায় নারী পুরুষ বাশঁখালীর পূর্ব প্রান্তে পাহাড়ের চূড়ায় বা পাদদেশে সরকারী বা রিজার্ভ ফরেস্টে এর জায়াগায় বসবাস করছিল । ২০০৭ সালে কেয়ারটেকার সরকারের আমলে তাদেরকে ফরেষ্ট বিভাগ কর্তৃক উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয় । সকল অসহায় মানুষের প্রতিনিধিগন হাহাকার অবস্থায় তাঁর শরনাপন্ন হলে তিনি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহিত জোরালো দাবীর প্রেক্ষিতে সমস্ত উচ্ছেদ নোটিশ কার্যকারিতা বন্ধ করেন । আজ পযর্ন্ত এই অসহায় মানুষগন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে ।

      ১৭) ২০১৪ সাল হতে অদ্যবধি তিনি নিজস্ব অর্থায়নে সওয়াবের নিমিত্তে পানীয় জলের অভাব পূরণে ছনুয়া, বড়ঘোনা, গন্ডামারা, শিলকূপ, মনকিরচর, সরল, পশ্চিম চাম্বল, কাহারঘোনা, ডোংরা ইত্যাদি এলাকায় প্রায় ৮০ (আশি) টি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন ।

      ১৮) ২০১৫-২০১৬ সালে বাশঁখালী পৌরসভা তথাকথিত টেক্সের নামে রাস্তার উপরে একটি বাঁশ ফেলে প্রতি গাড়ি থেকে টোল তোলা আরম্ভ করেছিল । ঐ তথাকথিত পৌরকর টোল তিনি

      বন্ধ করতে সক্ষম হন ।

      ১৯) তাঁর একক প্রচেষ্টায় তৈলারদ্বীপ সেতু কোন বিদেশী অনুদান ছাড়া ১৯৯৯ সালে জাতীয়

      পার্টির একমাত্র মন্ত্রীর সহায়তায় সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয় । ২০০৬ সালে ঐ সেতুর উপর টোল বা টেক্স বসিয়ে দেওয়া হয়। একই শঙ্খ নদীর উপর দোহাজারী সেতু, খোদারহাট সেতু, ডলুব্রীজ এবং তৈলারদ্বীপ সেতু বিদ্যমান । এখানে কোন সেতুর উপর টোল নেই । কিন্তু তৈলারদ্বীপ সেতুর উপর বাস, ট্রাক, সিএনজি টেক্সি, মোটর সাইকেল, মহিষ, গরু-ছাগল ইত্যাদি সব কিছুর উপর টোল আদায় শুরু করে । ২০০৬ থেকে ২০১৬ পযর্ন্ত দীর্ঘ ১১ বৎসর এই টোলের ব্যাপারে আমরা অনেক নেতার স্বরনাপন্ন হয়েছিলাম । দুঃখের বিষয় কেউ আমাদের ডাকে সাড়া দেননি । তিনি সর্বশেষ এই টোল আদায়কে অবৈধ দাবী করে বাঁশখালীর জনগণের স্বার্থে তথা আমাদের স্বার্থে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে রিট মামলা দায়ের করেন । সে রিট মামলার কারণে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে অত্র সেতু টোল মুক্ত হয়েছে। প্রায় দুইমাস অত্র সেতুতে টোল ছিলনা । কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় যে, বাঁশখালীর কিছু কু-চক্রী মহল সরকারকে ভুল বুঝিয়ে অত্র হাইকোর্টের আদেশের বিপরীতে সুপ্রিম কোর্টে আপীল দায়ের এর পর অত্র টোল পুণরায় চালু করে ।

      ২০) তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালীন অবস্থায় পশ্চিম বাঁশখালীর জন্য রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের

      অধীনে আলাদা তহবিল বরাদ্ধের ব্যবস্থা করেছেন । এবং তাঁকে পৃষ্টপোষক করে তৎকালীণ মহকুমা প্রশাসককে সভাপতি রেখে পশ্চিম বাঁশখালীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে পশ্চিম বাঁশখালী উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয় ।

      ২১) ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ে যখন ৩৫,০০০ মানুষ প্রাণ হারায় সেই কঠিন দুঃসময়ে চট্টগ্রাম থেকে সর্বপ্রথম তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হন । তাঁর প্রচেষ্টায় কয়েক হাজার লাশ দাফন করাসহ পশ্চিম বাঁশখালীর জলকদর খালের সমস্ত ঘাট যথা মোশারফআলী হাট, চুনতি বাজার, সরল ঘাট, গন্ডামারা, বাংলাবাজার ইত্যাদি সকল ঘাটে পারাপারের জন্য তাঁর নিজস্ব তহবিল হতে টাকা দিয়ে প্রায় ১৫ দিন প্রত্যেকটি ঘাট বিনা পয়সায় পারাপারের ব্যবস্থা করে দেন ।

      ২২) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার জন্য তাঁর নেতৃত্বে প্রথম “বিজয় মেলা” চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ ময়দানে চালু করা হয় ১৯৮৯ সালে । এবং সেই বিজয় মেলায় তিনি প্রধান পৃষ্টপোষক ছিলেন । বাংলাদেশের প্রথম এই বিজয় মেলার সভাপতিত্ব করেন ফারুক ই আজম বীর প্রতিক ও প্রখ্যাত সাংবাদিক বাসস এর ভুইয়া । বিজয় মেলার প্রবর্তনকারী হিসেবে আমাদের মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর জন্য আমরা গর্বিত । এই বিজয় মেলা আজ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি দেশের বাইরেও প্রচলিত আছে ।

      অতএব, মেহেনতি মানুষের এই বন্ধু, যিনি বর্তমানে বাঁশখালীতে বিনা বেতনে কারীগরী শিক্ষা ব্যবস্থা করেছেন এবং সেখান থেকে শত শত শিক্ষিত বেকার যুবক কারীগরী শিক্ষিত হয়ে চাকরী পাচ্ছে । আমাদের মেয়েদের এবং বোনদের উচ্চ শিক্ষার জন্য নিজস্ব টাকায় নারী শিক্ষার ডিগ্রী কলেজও প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি প্রতি মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত অনুদান প্রদান করেন । সে মানুষটি কে আমরা মনে করি দক্ষিণ চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা এবং দল মত নির্বিশেষে তাঁকে সংবর্ধিত করা আমাদের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব । এই সমস্ত কারনে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট প্রদান করে বিপুল ভোটে জয়ী করাসহ এই মানুষটির দীর্ঘায়ু ও আরো সফলতা কামনা করুন G  নিবেদক:-


      বাঁশখালীর সকল সিএনজি টেক্সি, কোস্টার, ট্রাক, রিক্সা, সামুদ্রিক ট্রলারের শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ